চট্টগ্রাম ব্যুরাে:
দেশের ৫৪তম মহান বিজয় দিবস উদযাপন করেছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন। সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে নগরের থিয়েটার ইন্সটিটিউটে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা দিয়েছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় মুক্তিযোদ্ধা দলের সহ-সভাপতি মিরসরাইয়ের কৃতি সন্তান মনিরুল ইসলাম ইউসুফ সহ অন্যান্য বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
চসিক মেয়র ডাঃ শাহাদাত হোসেন বলেন, মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের কাছে দাবি রাখছি প্রকৃত শহীদ এবং মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা প্রকাশ করা হোক। কতজন বীরশ্রেষ্ঠ, বীরউত্তম, এবং বীরপ্রতীক রয়েছেন তা জানাতে হবে। একইসঙ্গে সেক্টর কমান্ডার এবং সাব-সেক্টর কমান্ডারদের সঠিক নাম ইতিহাসে সংরক্ষণ করতে হবে। গত ১৬ বছরে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বিভিন্নভাবে বিকৃত করা হয়েছে। যারা মুক্তিযুদ্ধের সোল এজেন্সি দাবি করে এসেছে, তাদের আসল অবদান কী, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা দিতে পেরে আনন্দিত জানিয়ে তিনি বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা দিতে পেরে আমরা আনন্দিত। আমাদের বাংলাদেশে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ একটি স্বপ্ন নিয়ে হয়েছিল— সমতা, মানবিক মর্যাদা, এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন। সেই চেতনা ধারণ করে সেদিন এদেশের মানুষ ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। কিন্তু গত ৫৩ বছরে বারবার মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে খন্ডিত করা হয়েছে এবং প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মুখে আনতে ব্যর্থ হয়েছে জাতি।
মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা দেওয়ায় চসিক মেয়রের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সহ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মনিরুল ইসলাম ইউসুফ। বক্তব্যে তিনি বলেন, পুরো বাংলাদেশে এখন শুধু একটাই মেয়র সেটা চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে। তিনি শুধু চসিকের মেয়র নন: জনতার মেয়র। বিএনপি এবং মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের পক্ষ থেকে তাঁর (মেয়র) সফলতা কামনা করছি।
চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজল বারিক, বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজল আহমদ, শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল মনসুরের ছোট ভাই ডা. মোহাম্মদ রকিব উল্লাহ। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন চসিকের সচিব মো. আশরাফুল আমিন, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা কিসিঞ্জার চাকমা, শিক্ষা কর্মকর্তা মোছাম্মৎ রাশেদা আক্তারসহ বিভাগীয় ও শাখা প্রধান এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।