1. info@dainikajkal.online : দৈনিক আজকাল : দৈনিক আজকাল
  2. info@www.dainikajkal.online : দৈনিক আজকাল :
বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫, ০৩:২১ পূর্বাহ্ন

চট্টগ্রামে নির্বাচনী আমেজ, লন্ডনের দিকে চোখ সম্ভাব্য প্রার্থীদের

দৈনিক আজকাল
  • প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৩ জুলাই, ২০২৫
  • ১৬ বার পড়া হয়েছে

সিফাত চৌধূরী,  চট্টগ্রাম অফিস ॥
লন্ডনে বাংলাদেশ সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন তারেক রহমানের বৈঠকের পর দেশে বইছে নির্বাচনী হাওয়া। আগামী বছরের ফেব্রুয়ারী হতে পারে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এই নির্বাচনকে সামনে রেখে চট্টগ্রামের ১৬টি আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীরা দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন। বিশেষ করে বিএনপি, জামায়াত এবং এনসিপির সম্ভাব্য প্রার্থীরা তাদের নির্বাচনী এলাকায় স্ব স্ব শক্তিশালী অবস্থান জানান দিচ্ছেন।

দলীয় কর্মসূচি ও সামাজিক আচার-অনুষ্ঠান ছাড়াও বিভিন্ন এলাকার লোকজনের সঙ্গে কুশল বিনিময় করছেন তারা। প্রত্যেক আসনে জামায়াতের একক প্রার্থী থাকলেও বিএনপি থেকে একাধিক মনোনয়ন প্রত্যাশী রয়েছেন। প্রার্থীরা একে অপরের বিরুদ্ধে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে মাঠে বেশ তৎপর রয়েছেন।এর আগে গত কোরবানির ঈদেও বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপির সম্ভাব্য প্রার্থীরা স্ব স্ব এলাকায় গিয়ে আসন্ন ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার বিষয়টি বেশ জোরালোভাবে জানান দিয়ে এসেছেন ভোটারদের।

আসন্ন নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী বাছাই কোন প্রক্রিয়ায় হতে পারে এমন প্রশ্নের জবাবে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও সাবেক রাষ্ট্রদূত গোলাম আকবর খোন্দকার বলেন, ‘এখন সাংগঠনিক কর্মকান্ড পরিচালনা করা হচ্ছে। দলীয় হাইকমান্ড যাচাই-বাছাই করে নির্দিষ্ট সময়ে প্রত্যেকটি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করবেন। তা নিয়ে কার্যক্রম চলমান। দল থেকে যাকেই প্রার্থী দিবে, তার জন্য দলীয় নেতাকর্মীদের মাঠে নামতে হবে। এক কথায় ধানের শীষের প্রার্থীদের বিজয়ী করতে একযোগে কাজ করতে হবে।’

একইভাবে ছয়টি আসন নিয়ে গঠিত চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ইদ্রিস মিয়া বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং মনোনয়ন বোর্ড প্রত্যেক আসনে মনোনয়ন চূড়ান্ত করবেন। আমি আশা করি এবার ত্যাগী ও ক্লিন ইমেজের যোগ্য প্রার্থীরা ধানের শীষের মনোনয়ন পাবেন। সেই ক্ষেত্রে দক্ষিণ জেলার ছয়টি আসনে যাদেরকেই বিএনপির মনোনয়ন দেওয়া হবে, অবশ্যই তাদের পক্ষে আমাদের দলীয় নেতাকর্মীকে কাজ করতে হবে।’

নির্বাচনে প্রার্থিতা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম নগর জামায়াতের সেক্রেটারি অধ্যক্ষ নুরুল আমিন বলেন, ‘ইতোমধ্যে বৃহত্তর চট্টগ্রামের আসনগুলোতে জামায়াতের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। পাশাপাশি স্ব স্ব এলাকায় বর্তমানে জনসম্পৃক্ত ও সমাজসেবামূলক কর্মকা- করা হচ্ছে। কেন্দ্র থেকে যেরূপ নির্দেশনা আসবে সেভাবে আমাদের দলের কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘প্রত্যেক আসনে প্রার্থী দেওয়া হলেও কোনো আসনে কোনো দলের সঙ্গে সমঝোতা হলে সেই আসনে আমাদের প্রার্থী প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে। সেই বিষয়েও আমরা তৎপর রয়েছি।’

আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে চট্টগ্রামের ১৬টি আসনে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) থেকে নির্বাচনে অংশ নেওয়া এবং প্রার্থিতা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে দলটির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্য সচিব মীর আরশাদুল হক বলেন, ‘নির্বাচনে অংশ নিতে এনসিপির পক্ষ থেকে কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। পাশাপাশি প্রার্থিতার বিষয়টি নিয়েও কাজ চলছে। ইতোমধ্যে এনসিপির যেইসব সম্ভাব্য এমপি প্রার্থী, তারা নিজ নিজ এলাকায় গিয়ে জনগণের সঙ্গে কথা বলছেন। মানুষ আসলেই পরিবর্তন চায়। তাই চট্টগ্রাম ১৬টি আসনের মধ্যে আট থেকে দশটি আসনে এনসিপির প্রার্থীরা নির্বাচন করবেন। আসনগুলোতে অনেকের নাম এসেছে। তবে এখনও কে কোন আসনে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন, তা চূড়ান্ত হয়নি। শিগগিরই চূড়ান্ত হবে।’

চট্টগ্রাম-১ (মিরসরাই) : এই আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী অনেকের নাম শোনা যাচ্ছে। এর মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য রয়েছেন কেন্দ্রীয় মুক্তিযোদ্ধা দলের ভাইস প্রেসিডেন্ট, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি চট্টগ্রাম ইউনিটের ভাইস চেয়ারম্যান ও রেড ক্রিসেন্ট হাপসাপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির ভাইস চেয়ারপার্সন মনিরুল ইসলাম ইউসুফ। যিনি গতবার প্রাথমিক তালিকায় ধানের শীষ প্রতীক পেয়েছিলেন। এই আসনে জামায়াতের একক প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট সাইফুর রহমান। এছাড়াও উত্তর জেলা বিএনপির দুই যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল আমিন ও নুরুল আমিন চেয়ারম্যান, বিজিএমইএ পরিচালক এমডিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী, উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক শাহীদুল ইসলাম চৌধুরী, জেটেব নেতা ফখরুল ইসলাম প্রবাসী পারভেজ সাজ্জাদ, প্রবাসী এমদাদ খন্দকার প্রার্থীতা করবেন। এই আসনটিতে এনসিপির প্রার্থী হিসেবে দলটির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্য সচিব সাগুফতা বুশরা মিশমার নাম শোনা যাচ্ছে।

চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) : এই আসনে ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হন বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী। তার মৃত্যুর কারণে এই আসন থেকে তার পরিবারের কাউকে বিএনপিদলীয় প্রার্থী করার সম্ভাবনা বেশি। সেই ক্ষেত্রে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ছেলে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হুম্মাম কাদের চৌধুরীর নাম থাকবে সর্বাগ্রে। আর এই আসনে জামায়াতের একক প্রার্থী চট্টগ্রাম নগর জামায়াতের সেক্রেটারি অধ্যক্ষ নুরুল আমিন।

তবে এই আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী আরও অনেকে রয়েছেন। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছেন সাবেক পিজিআর প্রধান ও উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কর্নেল (অব.) মো. আজিম উল্লাহ বাহার, উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য ডা. খুরশিদ জামিল চৌধুরী, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন একাংশের মহাসচিব, সাংবাদিক নেতা কাদের গণি চৌধুরী, দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সাবেক বিচারপতি ফয়সল মাহমুদ ফয়জী, উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ছালাউদ্দিন ও সরোয়ার আলমগীর। এর মধ্যে আজিম উল্লাহ বাহার একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী হয়েছিলেন। এ ছাড়াও আসনটিতে এনসিপির প্রার্থী হিসেবে ফটিকছড়ির সংগঠক মো. একরামুল হকের নাম শোনা যাচ্ছে।

চট্টগ্রাম-৩ (সন্দ্বীপ) : এই আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী রয়েছেনÑ সাবেক সংসদ সদস্য মোস্তফা কামাল পাশা, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মিজানুল রহমান ভূঁইয়া মিল্টন, দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য তরিকুল আলম তেনজিন, তবিউল আলম, উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ইঞ্জিনিয়ার বেলায়েত হোসেন এবং উপজেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট আবু তাহের। আর আসনটিতে জামায়াতের একক প্রার্থী চট্টগ্রাম উত্তর জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি আলাউদ্দিন সিকদার।

চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুন্ড) : এই আসনে বিএনপির সাবেক যুগ্ম মহাসচিব মো. আসলাম চৌধুরী ছাড়া এখনও বিএনপির অন্য কোনো মনোনয়ন প্রত্যাশীর নাম শোনা যায়নি। সেই ক্ষেত্রে আসনটিতে তিনি বিএনপির অঘোষিত একক প্রার্থী। এছাড়া চট্টগ্রাম উত্তর জেলা শিবিরের সাবেক সভাপতি আনোয়ারুল সিদ্দিকী আসনটিতে জামায়াতের একক প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন।

চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী ও বায়েজিদ) : এই আসনে বিএনপির দুজন মনোনয়ন প্রত্যাশী এবং জামায়াতের একক প্রার্থী রয়েছেন। বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীরা হলেনÑ বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন এবং দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এসএম ফজলুল হক ও সাবেক হুইপ সৈয়দ ওয়াহিদুল আলমের মেয়ে বিএনপি নেত্রী ব্যারিস্টার শাকিলা ফারজানা। এর মধ্যে ব্যারিস্টার মীর হেলাল উদ্দিনের পক্ষে আসনটির বিভিন্ন ইউনিয়নে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা বেশ সরব রয়েছেন। আর আসনটিতে জামায়াতের একক প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন হাটহাজারী উপজেলা জামায়াতের আমির ইঞ্জিনিয়ার সিরাজুল ইসলাম।

চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) : এই আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী দুজনই হেভিওয়েট। তারা হলেন- বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী এবং দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম আকবর খোন্দকার। আসনটিতে বিএনপির দলীয় নেতাকর্মীরাও দুই প্রার্থীর পক্ষে-বিপক্ষে বিভক্ত। আর আসনটিতে জামায়াতের একক প্রার্থী রাউজান উপজেলা জামায়াতের আমির শাহজাহান মঞ্জুর।

চট্টগ্রাম-৭ (রাঙ্গুনিয়া) : এই আসনটিতে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও প্রয়াত বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ছেলে হুম্মাম কাদের চৌধুরীর নাম সর্বাগ্রে রয়েছে। এছাড়াও মনোনয়ন প্রত্যাশী রয়েছেনÑ উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক ইউনুছ চৌধুরী, উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক কুতুব উদ্দিন বাহার, সদস্য সচিব আবু আহমেদ হাসনাত। আর আসনটিতে জামায়াতের একক প্রার্থী চট্টগ্রাম উত্তর জেলা জামায়াতের সাবেক আমির অধ্যক্ষ আমিরুজ্জামান।

চট্টগ্রাম-৮ (চান্দগাঁও, বোয়ালখালী ও পাঁচলাইশ আংশিক) : এই আসনটিতে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী রয়েছেন তিনজন। তারা হলেন- চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহ এবং দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব মোস্তাক আহমেদ খান। আর আসনটিতে জামায়াতের একক প্রার্থী বিএমএ নেতা ডা. আবু নাসের। এ ছাড়াও আসনটিতে এনসিপির সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে দলটির দক্ষিণাঞ্চলের যুগ্ম মুখ্য সংগঠক জোবায়রুল হাসান আরিফের নাম শোনা যাচ্ছে।

চট্টগ্রাম-৯ (কোতোয়ালি-বাকলিয়া) : এই আসনটিতে তিন হেভিওয়েটের নাম শোনা যাচ্ছে। তারা হলেনÑ চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ও নগর বিএনপির সাবেক সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন, নগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর এবং বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শামসুল আলম। আর আসনটিতে জামায়াতের একক প্রার্থী ডা. ফজলুল হক। এছাড়াও নগরীর গুরুত্বপূর্ণ এই আসনটিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রাম মহানগরের সভাপতি ও এনসিপি নেতা আরিফ মঈন উদ্দিন ও এনসিপির যুগ্ম মুখ্য সংগঠক ইমন সৈয়দের নাম শোনা যাচ্ছে।

চট্টগ্রাম-১০ (ডবলমুরিং-পাহাড়তলী-হালিশহর) : এই আসনটিতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী এবং দলের ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী মরহুম আবদুল্লাহ আল নোমানের পুত্র তরুণ রাজনীতিক সাঈদ আল নোমানের নাম শোনা যাচ্ছে। আর জামায়াতের একক প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন চট্টগ্রাম নগর জামায়াতের সাংগঠনিক সম্পাদক ও চসিকের সাবেক কাউন্সিলর অধ্যক্ষ শামসুজ্জামান হেলালী। এ ছাড়াও আসনটিতে এনসিপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মুখ্য সংগঠক ইমন সৈয়দের নাম শোনা যাচ্ছে।

চট্টগ্রাম-১১ (বন্দর, পতেঙ্গা, ডবলমুরিং, ইপিজেড) : এই আসনে বিএনপির একক প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। আগেও তিনি এই আসন থেকে একাধিকবার এমপি হয়েছিলেন। আর আসনটিতে জামায়াতের একক প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন চসিকের সাবেক কাউন্সিলর শফিউল আলম।

চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) : এই আসনে প্রার্থী হিসেবে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক এমপি গাজী মো. শাহজাহান জুয়েল, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ইদ্রিস মিয়া, পটিয়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক এনামুল হক এনাম, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাবেক সদস্য সৈয়দ সাদাত আহমেদের নাম শোনা যাচ্ছে। আর আসনটিতে জামায়াতের একক প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার লোকমান।

চট্টগ্রাম-১৩ (আনোয়ারা-কর্ণফুলী) : এই আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে সাবেক এমপি সরওয়ার জামাল নিজাম, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আলী আব্বাস, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব লায়ন হেলাল উদ্দিন, কর্ণফুলী উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক এসএম মামুন মিয়া, বিএনপি নেতা মোস্তাফিজুর রহমান ও আবু মোহাম্মদ নিফারের নাম শোনা যাচ্ছে। আর আসনটিতে জামায়াতের একক প্রার্থী দক্ষিণ জেলা জামায়াতের সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক মাহমুদুল হাসান। এছাড়াও আসনটিতে এনসিপির প্রার্থী হিসেবে দলটির কেন্দ্রীয় সদস্য জোবায়ের আলম মানিকের নাম শোনা যাচ্ছে।

চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ) : আসনটিতে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ও চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক ডা. মহসিন জিল্লুর করিম, আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি সংসদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম রাহী, সাবেক বিচারপতি আবদুস সালাম মামুন ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট মিজানুল হক চৌধুরীর নাম শোনা যাচ্ছে। আর আসনটিতে জামায়াতের একক প্রার্থী বিশিষ্ট চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. শাহাদৎ হোসাইন। তবে আসনটিতে সাবেক মন্ত্রী ও এলডিপির প্রতিষ্ঠাতা কর্নেল (অব.) অলি আহমেদের শক্ত অবস্থান রয়েছে। তিনি এবার নির্বাচন না করে তার ছেলে অধ্যাপক ওমর ফারুককে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। এছাড়াও আসনটিতে এনসিপির প্রার্থী হিসেবে দলটির কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক হাসান আলীর নাম শোনা যাচ্ছে।

চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া ও লোহাগাড়া) : এই আসনটি জামায়াতের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে খ্যাত। এবারও এই আসনে জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য, সাবেক এমপি শাহজাহান চৌধুরীকে একক প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেছে দলটি। জামায়াতের এই হেভিওয়েট প্রার্থীর সঙ্গে বিএনপির প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে মনোনয়ন প্রত্যাশী অনেকেই আছেন। তারা হলেনÑ দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক শেখ মো. মহিউদ্দিন, দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আসহাব উদ্দিন, সাতকানিয়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক জামাল হোসেন, উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান চেয়ারম্যান, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. ওসমান চৌধুরী এবং লোহাগাড়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক নাজমুল মোস্তফা আমিন।

চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) : এই আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে সাবেক মন্ত্রী জাফরুল ইসলাম চৌধুরীর দুই ছেলে দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মিশকাতুল ইসলাম চৌধুরী পাপ্পা ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম চৌধুরী আলমগীর, দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক লিয়াকত আলী চেয়ারম্যানের নাম শোনা যাচ্ছে। তবে আসনটিতে জামায়াতের একক প্রার্থী হিসেবে শক্ত অবস্থানে রয়েছেন বাঁশখালীর সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান জহিরুল ইসলাম। এ ছাড়া আসনটিতে এনসিপির প্রার্থী দলটির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্য সচিব মীর আরশাদুল হক।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০৩১  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট