
স্টাফ রিপোর্টার
চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এমদাদুল হক বাদশা দাবি করেছেন, তাকে দল থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্তটি ছিল পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র ও রাজনৈতিক প্রতিহিংসার ফল। তিনি এই সিদ্ধান্তের পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
সোমবার (১৪ জুলাই) চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের এস রহমান হলে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আমি আজীবন দলের জন্য কাজ করেছি। আমার বিরুদ্ধে ৮০টির বেশি রাজনৈতিক মামলা হয়েছে, ২০ বার কারাভোগ করেছি। এরপরও দলের আদর্শ থেকে একচুল সরে যাইনি।
বাদশা অভিযোগ করেন, কেন্দ্র থেকে হঠাৎ করে কোনো ধরনের কারণ দর্শানো ছাড়াই বহিষ্কারের নোটিশ পাঠানো হয়েছে। তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে থানায় বা আদালতে কোনো নির্দিষ্ট অভিযোগ নেই। চাঁদা দাবি, দুর্নীতি বা অন্য কোনো অভিযোগের কথা আমি নিজেও জানি না। তাহলে আমাকে বহিষ্কার করা হলো কেন?
তিনি আরও বলেন, আমি কারও কাছ থেকে চা খাইনি, কারও জায়গা দখল করিনি। আমি দলীয় পদ-পদবি নিয়ে ব্যবসা করিনি। তাহলে এই শাস্তি কেন?
তার মতে, দলের ভেতর একটি চক্র দীর্ঘদিন ধরে তার অবস্থান নষ্ট করার চেষ্টা করে আসছিল। সেই চক্রই এখন কেন্দ্রের কানভর্তি করে বহিষ্কারের পথ তৈরি করেছে।
বক্তব্যে বাদশা বলেন, আমি সত্যের পক্ষে দাঁড়াতে চাই। যদি তদন্তে প্রমাণ হয় যে, আমি দলের ক্ষতি করেছি কিংবা অপরাধ করেছি, তাহলে রাজনীতি চিরতরে ছেড়ে দেবো।
তিনি এ বিষয়ে একটি নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন করে সত্য উদঘাটনের আহ্বান জানান।
সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা সবসময় জাতির পক্ষে ছিলেন। আজ আমি আপনাদের কাছে অনুরোধ করছি, আমার কথা জাতির সামনে তুলে ধরুন। সত্য উন্মোচনে সহযোগিতা করুন।
সংবাদ সম্মেলনে এমদাদুল হক বাদশার বড় মেয়ে তাসমিনা হক নিম, বড় ছেলে মিসবাহ উল হক, এবং ছোট ছেলে মিরাজ উল হক উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া উপস্থিত ছিলেন: চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সাবেক সহ-সভাপতি নাসির উদ্দিন চৌধুরী নাছিম, সাবেক সহ-অর্থ সম্পাদক জিয়াউল হক মিন্টু, সাবেক সমবায় বিষয়ক সম্পাদক মোঃ ইদ্রিস, সাবেক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক মোঃ শেখ কামাল আলম, সাবেক গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক মোঃ জসিম, সাবেক শিল্প বিষয়ক সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মামুন জিতু, সাবেক সদস্য সাব্বির ইসলাম ফারুক, বাকলিয়া থানা যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক ইসমাইল হোসেন লেদু, চকবাজার থানা যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক মোহাম্মদ সেলিম, কোতোয়ালি থানা যুবদলের সাবেক সদস্য সচিব মোঃ হাসান, সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ আব্দুল জলিল, বাকলিয়া থানা যুবদল নেতা মোহাম্মদ জাকির হোসেন, মহানগর যুবদলের নেতা জাবেদুল হক, যুবদল নেতা মোঃ ওসমান গনি, মোঃ আলমগীর, মোহাম্মদ রাসেল করিম রাসেল, সাদ্দামুল হক সাদ্দাম, শফিউল বাসার সাজু, ওমর ফারুক রানা, মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ, মোহাম্মদ রহিম মিনু, মিজানুর রহমান, মোহাম্মদ শরীফ, মোঃ মহসিন এবং সালাউদ্দিন বাপ্পি।