চট্টগ্রাম প্রতিনিধি॥
সীরাতে রাসূলের আলোকে সমাজকে বদলাতে হবে, আগামীতে নেককার মুত্তাকী মানুষের হাতে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দিতে হবে”—এ কথা বলেছেন সরকারের ধর্মবিষয়ক উপদেষ্টা ড. আ. ফ. ম. খালেদ হোসেন।
গত ২৫ আগস্ট সোমবার দুপুর ২টায় বাংলাদেশ আহলুস সুন্নাত ওয়াল জামায়াত চট্টগ্রামের উদ্যোগে আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদ চত্বরে আজিমুশশান মিলাদুন্নবী (সা.) মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। সংগঠনের সভাপতি, বায়তুশ শরফ কামিল মাদ্রাসার সাবেক অধ্যক্ষ শায়খুল হাদিস প্রফেসর ড. মাওলানা সাইয়্যেদ মুহাম্মদ আবু নোমানের সভাপতিত্বে ও উপাধ্যক্ষ মোহছেন আল হুসাইনী এবং মাওলানা ইমরানুল হক সাঈদের যৌথ সঞ্চালনায় এ মাহফিল হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ. ফ. ম. খালেদ হোসেন বলেন, “৫৪ বছর ধরে এ দেশের সম্পদ লুট হয়েছে। যারা লুট করেছে তারা দেশপ্রেমিক নয়। দ্বীনের স্বার্থে ও দেশের কল্যাণে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। সীরাতে রাসূলের আলোকে সমাজে শান্তি ফিরিয়ে আনতে হবে। ইসলামিক ফাউন্ডেশন ও ধর্ম মন্ত্রণালয় এ লক্ষ্যে কাজ করছে। রাষ্ট্রে সৎ নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হলে দুর্নীতি থাকবে না।”
তিনি আরও বলেন, “এ বছরই প্রথম সুষ্ঠুভাবে হজ সম্পন্নের পর হাজিদের প্রায় আট কোটি ২৬ লাখ টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে, যা নজিরবিহীন। ছোটখাটো মতপার্থক্য ভুলে আলেমদের বৃহত্তর স্বার্থে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে—হাত নয়, বুকের সঙ্গে বুক মিলাতে হবে।”
আলোচনায় প্রধান মেহমান ছিলেন আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদের খতিব আওলাদে রাসূল (সা.) আল্লামা সাইয়্যেদ মুহাম্মদ আনোয়ার হোসাইন তাহের জাবেরী আল-মাদানী। তিনি মসজিদ সংস্কারে গড়িমসি বরদাশত করা হবে না বলে সতর্ক করে দেন এবং দ্রুত সংস্কারকাজ শুরু করার আহ্বান জানান।
প্রধান মুফাসসির মাওলানা ক্বারী আব্দুল্লাহ আল-আমিন বলেন, দাঁড়ি রাখা ইসলামী শরিয়তে ওয়াজিব এবং এটি সব নবীর সুন্নাত। পুলিশের অনুমতির বিষয়টিকে তিনি প্রত্যাখ্যান করেন। তিনি হিজাব পরা ছাত্রীদের অপমানের তীব্র নিন্দা জানান এবং রাসূলের আদর্শ প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানান।
রাসূল (সা.) এর জীবনের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি প্রফেসর ড. আবু বকর রফিক, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. আ. ক. ম. আবদুল কাদের, ড. মাওলানা গিয়াস উদ্দীন তালুকদার, ড. মাওলানা আহমদ আলী, ড. নেজাম উদ্দিন, ড. শফিউল্লাহ কুতুবী, প্রফেসর ড. আ. স. ম. আব্দুল মান্নান চৌধুরীসহ আরও অনেকে।
অনুষ্ঠানে রচনা প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের পুরস্কার প্রদান করা হয়। আওলাদে রাসূল সাইয়্যেদ মুহাম্মদ আনোয়ার হোসাইন তাহের জাবেরীর দোয়া ও মুনাজাতে মাহফিল শেষ হয়। সভাপতি প্রফেসর ড. সাইয়্যেদ মুহাম্মদ আবু নোমান উপস্থিত সবাইকে ধন্যবাদ ও মোবারকবাদ জানান।