চট্টগ্রাম অফিস ॥
চট্টগ্রামের অন্যতম ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হালিশহর হাউজিং এন্ড সেটেলমেন্ট পাবলিক স্কুলে এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা ও পরিবেশ সচেতনতামূলক বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার দুপুরে স্কুল প্রাঙ্গণে আয়োজিত অনুষ্ঠানে কৃতী শিক্ষার্থীদের হাতে সম্মাননা স্মারক (ক্রেস্ট) তুলে দেওয়া হয়।
একইসঙ্গে, পরিবেশ সংরক্ষণে অংশ হিসেবে বিভিন্ন প্রজাতির গাছের চারা রোপণের মাধ্যমে সম্পন্ন হয় বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি।
শিক্ষার্থীদের সম্মাননা:
ভবিষ্যতের জন্য অনুপ্রেরণা
এসএসসি ২০২৫ পরীক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা স্কুলের গর্ব ও ভবিষ্যতের সম্ভাবনা হিসেবে চিহ্নিত হন এই আয়োজনে। তাদের হাতে ক্রেস্ট ও শুভেচ্ছা উপহার তুলে দেন আমন্ত্রিত অতিথিরা। এই আয়োজন শিক্ষার্থীদের আরও ভালো করার অনুপ্রেরণা জোগাবে বলে মত দেন শিক্ষক ও অভিভাবকরা।
প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন হালিশহর হাউজিং এন্ড সেটেলমেন্ট পাবলিক স্কুলের এডহক কমিটির সদস্য মোঃ নিজাম উদ্দিন। তিনি বলেন, স্কুলের এ আয়োজন শুধু সংবর্ধনা নয়, এটি একটি সামাজিক ও পরিবেশ সচেতন প্রজন্ম গঠনের সুস্পষ্ট ইঙ্গিত দেয়। কৃতী শিক্ষার্থীদের সম্মাননা এবং বৃক্ষরোপণের এই সম্মিলিত প্রয়াস শিক্ষার পাশাপাশি মূল্যবোধ, সচেতনতা এবং দায়িত্বশীলতার শিক্ষাও দিয়েছে।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তাপশ কুমার সেন। তিনি বলেন,“আমাদের লক্ষ্য শুধু একাডেমিক সাফল্য নয়, শিক্ষার্থীদের নৈতিকতা, পরিবেশ সচেতনতা এবং সামাজিক দায়বদ্ধতায় উদ্বুদ্ধ করাও।”
সহকারী প্রধান শিক্ষক নুরুল করিমের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন এনসিসি ব্যাংক বড়পোল শাখার ম্যানেজার ফজলুল করিম, এনসিসি ব্যাংকের ভিপি মাঝিরঘাট ব্রাঞ্চের প্রধান আরিফ চৌধুরী। কৃতী শিক্ষার্থীদের হাতে ক্রেষ্ট তুলে দেন অতিথিবৃন্দ। এছাড়াও স্কুল মাঠে বিভিন্ন জাতের গাছের চারা রোপন করা হয়।
সবুজের ডাক: বৃক্ষরোপণে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ
অনুষ্ঠানের প্রথম অংশে পরিবেশ সচেতনতামূলক “বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি” অনুষ্ঠিত হয়। স্কুল মাঠ ও আশেপাশের এলাকায় শিক্ষার্থীদের হাতে রোপণ করা হয় ফলজ, বনজ ও ঔষধি গাছের চারা। বৃক্ষরোপন কর্মসূচীর ব্যবস্থাপনায় ছিল এনসিসি ব্যাংক লিমিটেড, হালিশহর শাখা।
এসময় বক্তারা বলেন, “এই আয়োজন কেবল একটি আনুষ্ঠানিকতা নয়, বরং নতুন প্রজন্মের হাতে সমাজ ও পরিবেশের দায়িত্ব তুলে দেওয়ার প্রচেষ্টা।”
অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ
অনুষ্ঠানে বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতি অনুষ্ঠানকে প্রাণবন্ত করে তোলে। ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে ছিল উৎসাহ ও উদ্দীপনা। অনেকে বলেন, এই ধরনের আয়োজন নিয়মিত হলে শিক্ষার্থীরা পাঠ্যবইয়ের বাইরেও বাস্তব জীবনের মূল্যবোধ শিখতে পারবে।